ইন্টারস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে । থানার ষোলটি হাই স্কুল কে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে । পূর্বাঞ্চলীয় চারটি স্কুল যথাক্রমে রাধানগর হাইস্কুল, পিরিজকান্দি হাইস্কুল, দৌলত কান্দি হাইস্কুল এবং নারায়নপুর হাইস্কুল নিয়ে পূর্বঞ্চলীয় গ্রুপ। এ গ্রুপের বিজয়ী টিম পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রুপ বিজয়ীর সাথে সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে । আজ পিরিজকান্দি স্কুলের সাথে দৌলতকান্দি স্কুলের প্রথম খেলা নারায়নপুর স্কুল মাঠে । সকাল থেকে স্কুলে সাজ সাজ রব । টিফিন আওয়ারে সমস্ত স্কুল ছুটি হয়ে গেল । পিরিজকান্দি স্কুলের ফুটবল টিম আরিজের নের্তৃত্বে বাজার থেকে হালকা নাস্তা সেরে নারায়নপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেল । পিরিজকান্দি থেকে নারায়নপুরের দুরত্ব প্রায় চার মাইল । তথনো রিকসা বা স্কুটারের প্রচলন গ্রাম বাংলায় শুরু হয় নাই । ফলে সারা পথ হেটেই যেতে হবে । বিকাল সারে চারটায় খেলা শুরু হবে । তারা লক্ষীপুর ,গকুলনগর পেরিয়ে নারায়নপুর স্কুলের মাঠে যখন পৌঁছাল বেলা তথন তিনটা । শ্রাবন মাস বাইরে প্রখর রোদ । মাঠে পৌছাতে পৌছাতে প্রতিটি খেলোয়ার ঘেমে নেয়ে শেষ । মাঠের পশ্চিম দিকের বড় বটগাছের ছায়ায় এসে সবাই বসল । মাঠের দক্ষিন পশ্চিম দিক খোলামেলা । আকাশে ছেড়া ছেড়া পেঁজা পেঁজা সাদা মেঘ দক্ষিন থেকে উত্তরে উড়ে যাচ্ছে । দক্ষিনা বাতাসে অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তাদের গা জুড়িয়ে গেল । স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক সবাইকে হালকা অনুশীলনের জন্য মাঠে ডাকলেন । আধা ঘন্টা হালকা অনুশীলনের পর পুনরায় দলটি গাছের ছায়ায় এসে বসল । খেলা শুরু হতে আর বেশী বাকী নেই । উত্তর আকাশে সাদা মেঘ গুলো জমাট বাঁধতে শুরু করেছে । দক্ষিনা বাতাস কমে এসেছে । খেলা শুরু হল উভয় দলের আক্রমন পাল্টা আক্রমনে খেলা বেশ জমে উঠেছে । হাফ টাইমের আগ মহূর্তে পিরিজকান্দি স্কুল এক শুন্য গোলে এগিয়ে গেল । হাফ টাইম হতেই দেখ গেল মেঘ গুলো ক্রমান্বয়ে জমাট বেধে কাল কুন্ডলী আকারে উপরের দিকে উঠে আসছে । ইতিমধ্যে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেছে । পিরিজকান্দি স্কুল তিন শুন্য গোলে অগ্রগামী । খেলা প্রায় শেষ মহূর্তে দেখতে দেখতে ঝড়ের সাথে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলো । খেলোযারেরা পড়িমরি করে খেলা ছেড়ে স্কুলের বারান্দায় আশ্রয় নিল । ঝড়ের তীব্রতা এতই বৃদ্ধি পেল যে চক্ষের নিমেষে স্কুল ঘরের টিনের চালাটি উড়ে গিয়ে মাঠে পড়ে গেল । দর্শক সহ খেলোয়ারেরা খোলা আকাশের নিচে ভিঁজতে লাগল । প্রায় ঘন্টা খানেক এক টানা বৃষ্টি ও ঝড়ের পর বাতাস কিছুটা ধরে এল । সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে । বৃষ্টি আরও কিছুটা ধরে এলে পিরিজকান্দি স্কুল টিম বাড়ীর পথ ধরল । কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথ । আজ অমাবস্যা । ঘন অন্ধকার । টিপ টিপ বৃষ্টি ঝরছে তো ঝরছে । সেকেন্ডে সেকেন্ডে আকাশে বিদ্যুত চমকাচ্ছে । বিদ্যুত চমকে রাস্তা দেখে দেখে তারা এগিয়ে চলেছে । রাস্তার উপর দুপাশের গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে আছে । পিচ্ছিল অন্ধকার রাস্তায় আছাড় খেতে খেতে তারা যখন পিরিজকান্দি এসে পৌছাল তখন রাত নটা । বাজারের দোকান পাট সব বন্ধ । পাশের বাড়ীর এক দোকানদারকে ডেকে এনে দোকান খুলে সবাই গুরমুড়ি খেয়ে খিদে নিবারণ করল । এবার ঘরে ফেরার পালা । বাজারে এসে দেখা গেল জয়নগরের আরিজ একা । তার বাড়ী আরও আধামাইল দক্ষিনে রেললাইনের ওপারে । পথে পড়বে বিশাল চিতাশালা (শ্মশাণ খলা)। বিহারী লাল ও কৃষ্ণধন আরিজকে তাদের বাড়ীতে থেকে যেত আহবান জানাল । কিন্তু আরিজ জানে তার বাবা মা পথচেয়ে বসে থাকবেন । তাই একাই রওয়ানা হয়ে গেল । চিতাশালাটি কদমতলী বিলের পাড়ে । দীর্ঘ দিনের পুরাতন চিতাশালা। জায়গাটি ঘন গভীর জঙ্গলে ভরা । চিতাশালার মাঝ বরাবর গায়ের মেঠো পথ । আকাশ থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ঝড়ছে । বৃষ্টিতে মেঠো পথ পিচ্ছিল হয়ে আছে । শো শো করে বাতাস বইছে । চারিদিকে ভুতুরে পরিবেশ । গুড়ুম গুড়ুম আকাশে দেয়া ডাকছে । মাঝে মাঝে বিদ্যুত চমকে ক্ষনিকের জন্য চারিদিক ফর্সা হয়ে উঠছে । আরিজ এগিয়ে চলছে । চিতাশালা যতই কাছে আসছে বুকের ধুকপুকুনি ততই বাড়ছে । মনে মনে আস্তাগফার সহ দোয়ায়ে ইউনুস- লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সোবনাকা ইন্নিকুনতুম মিনাজ জোযালেমিন জপে যাচ্ছে । শ্মশানের কাছে আসতেই ডান পাশ থেকে থেমে থেমে একটি গ্যদাবাচ্চার (সদ্যপ্রসূতবেবী)কান্নার শব্দ কানে এসে বাজতে লাগল । কান্নার শব্দে অন্তরাত্না কেঁপে ঊঠলো । ভয়ে দোয়ায়ে ইউনুস পুরোটা ভুলে গিযে শুধু লা ইলাহা -কুনতু কুনতু জপতে লাগল । মাঝে মাঝে থেমে থেমে কান্না চলতেই লাগল । এক দৌড়ে সে অনেকটা পথ এগিয়ে গেল । বিদ্যুত চমকের আলোতে পথের কিছুটা অংশ দেখে ও বাকীটা আন্দাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে । ইতিমধ্যে বেশ কবার পিচ্ছিল রাস্তায় আছাড় খেয়ে উঠে দাড়িয়েছে । বড় কদম গাছটার নিচে আসতেই গাছের উপর থেকে কে যেন বলে উঠছে-কে -যায় ওখানে –কে-রে ? ভয়ে আরিজের আত্না খাঁচা ছাড়া হবার জোগাড় । মুখ থেকে কোন স্বর বের হচ্ছেনা । দাত কপাটি লেগে যাচ্ছে যেন । দৌড়াতে শুরু করল কোন রকমে কদম তলাটা পেরিয়ে এল । আছাড় খেয়ে কাদা পানিয়ে গড়িয়ে পড়ল । পেছন থেকে কে যেন তাকে টেনে ধরেছে । আর বুঝি রক্ষা নেই । একনই তার ঘাড় মটকে দেবে ।জোড়ে একটা হেচ্কা টান দিল । জামার পেছনের কিছু অংশ যেন ছিড়ে নিয়েছে । হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গেল । বিদ্যুত চমকের সাথে সাথে সামনে দেখতে পেল বেনীসাহার নতুন চিতাটার উপর গুমটা পড়ে কে একজন বসে আছে । দু কদম এগোতেই গুমটার ভেতর থেকে মহিলা কন্ঠ মিহি সুরে কাঁদতে শুরু করে দিল । নববধু যেন বাপের বাড়ী ছেড়ে পালকিতে করে নতুন শশুর বাড়ী যাচ্ছে । পানি পিপাসায় ছাতিটা ফেটে যাচ্ছে । ঝুম ঝুম বৃষ্টির মাঝেও সারা শরীর ঘেমে ভিজে উঠেছে । যতই এগুচ্ছে মহিলা কন্ঠের কান্নার শব্দ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে । নব বধু সুর করে কেঁদেই চলেছে । শৈশব থেকে সবার মুখে মুখে শুনে এসেছে অশরীরী আত্নাকে দেখার জন্য পেছন ফিরে তাকাতে নেই । তবেই সেরেছে তারা ক্ষেপে গিয়ে ঘাড় মটকিয়ে দেয়। ভয়ে ইতিমধ্যে কাঁদা আর মাটিতে বেশ কবার গড়াগড়ি খেয়েছে। কোন রকমে প্রাণটা নিয়ে কয়েকশ গজ দুরে মজনুদের বাড়ি এসে পৌছাল । মজনু-অ- মজনু বাড়ি আছিস ? গলাদিয়ে স্বর যেন বেরতে চায় না । মজনু ক্ষীণ কণ্ঠের ডাক শুনতে পেয়ে ঘর থেকে উকি দিয়ে জানতে চাইল- কে রে ? আমি আরিজ । আরে আরিজ এত রাতে কোত্থেকে এলি । আর বলিস না দোসত- নারায়নপুর ফুটবল খেলতে গেছিলাম । ফুটবল খেলতে যাবি আমায বললি না কেন ? আমিও তোদের সাথে যেতাম । মজনু আরিজের লেংটা কালের বন্ধু । বর্তমানে লেখপড়া ছেড়ে দিয়ে বাবার সাথে কৃষি কাজ করে । মজনু বলল তোর একি অবস্থা । মনে হচ্ছে তুই রাস্তার সাথে যুদ্ধ করে এলি । ঘরের চালার নিচে দাড়িয়ে বৃষ্টির পানিতে শরীরে কাদা গুলো আগে ধোয়ে নে । গায়ের কাদা ময়লা গুলো ধোয়া শেষ হলে মজনু বলল- নে এবার ভেজা কাপড় পাল্টিয়ে নে । আরিজ বলল না রে বাড়ী যেতে হবে । নইলে বাবা অনেক খেপে যাবে । তুইতো বাবাকে চিনিস । এবার বলতো চিতাশালা পেরিয়ে আসতে ভয় পাস নি তো ? একে বারে পাই নি বললে ভুল হবে । জানিস এক জায়গায় শিশুর কান্না,বড় কদম গাছের উপর থেকে কে যেন বলল- কে যায় ? আবার বেণীসাহার নতুন চিতার উপর ঘোমটা পড়া এক মহিলাকে কাঁদতে শুনে এলাম । দুর বোকা ওসব কিছু না তোর মনের ভুল । চল তোকে বাড়ী এগিয়ে দিয়ে আসি । না রে লাগবে না । ঘরে একটা টর্চ কিংবা হারিকেন থাকলে দিতে পারিস । এই নে হারিকেনটা নিয়ে যা । সকালে চলে আসিস । দেখবো কোথায় তোর শিশুর কা্ন্না, কে সে ঘোমটা পড়া মহিলা ।
আরিজ হারিকেনের আলোতে পথ দেখে রেললাইন পেরিয়ে তাদের বাড়ী এসে পৌছাল । দরজায় কড়া নাড়ার সাথে সাথে তার মা এসে দরজাটা খুলে দিল । বৃষ্টি ইতিমধ্যে অনেকটা ধরে এসেছে । মা বলল- চল কুয়ার পাড়ে চল আগে গোসল করে নে । মা বালতি দিয়ে পানি তুলে দিতে দিতে জানতে চাইল তোর সাথে আর কে কে ছিল ? আরিজ বলল – পিরিজকান্দি পর্যন্ত বন্ধুরা ছিল । বাকী পথ আমি একা এসেছি । কি বলছিস ; এই শ্মশানখলার মাঝ দিয়ে একা এলি কেমন করে ? ভয় পাসনি ? না তেমন একটা ভয় পাই নি । দাড়া আমি চুলাটা জ্বালিয়ে একটু পানি গরম করে নিই । বলেই মা চুলা জ্বালিয়ে এক বাটি পানি বসিয়ে দিল সেই সাথে লোহার দা খানা চুলার গলগলে আগুনের মাঝে ঠেসে দিল । পানি গরমের সাথে সাথে দাটা দগদগে লাল হয়ে উঠল । মা গরম পানির বাটির মাঝে দা টি চুবিয়ে ধরল । পানি কিছুটা ঠাণ্ডা হলে মা তাকে জোর করে পানি টুকু খেতে দিল । অনিচ্ছা সত্বেও তাকে মায়ের আবদার রক্ষা করতে হলো । আরিজ জানতে চাইল- মা গরম দা ডুবানো পানি কেন খাওয়ালেন ? তুই যদি ভয় পেয়ে থাকিস তা কেটে যাবে ? কোন ভুত প্রেত তোর কোন ক্ষতি করতে পারবে না এর নাম ডর কাঞ্চি । হায়রে মায়ের মন । গোসল শেষে ঘরে এলে বাবা বলল- ওকে খেতে দাও । মা বলল- থাক আজ রাতে আর খাবার দরকার নেই । এদিকে ক্ষিদের জ্বালায় পেট চুচু করছে । কি আর করা মায়ের কথা শিরোধার্য । মা আবার বলল-আজ আর তোর বিছানায় গিয়ে কাজ নেই আমার পাশে শোয়ে পড় । সারা রাত শ্রাবন ধারা চলল । সকালে আরিজের ঘুম যখন ভাঙ্গল তখন বাইরে বৃষ্টি ঝরছে । মা আরিজকে কিছু গুরমুড়ি চিবুতে দিয়ে রান্না ঘরে ঢুকল । আরিজ বলল- মা আমি মজনুদের বাড়ীতে হারিকেনটা দিয়ে আসছি । বলেই সে একটা ছাতা নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ল । মজনুকে নিয়ে দু বন্ধু চিতাশালায় এসে হাজির হল । তারা দেখতে পেল আছাড় খাওয়া যায়গা গুলো স্থানে স্থানে গর্ত হয়ে আছে । বেণীসাহার চিতাটার নিকট এগিয়ে গেল । দেখতে পেল চিতার মাঝ খানে রাখা মাটির কলসটা ঝড়ে কাত হয়ে একটা ছেড়া লুঙ্গিতে ঢেকে আছে । এর ঠিক পাশেই গাছের উপর থেকে একটি পেঁচার বাসা ভেঙ্গে পড়ে আছে । বাসার ভেতর ছোট ছোট দুটি ছানা চি চি করে মিহি সুরে মাকে ডাকছে আর খুঁজছে । তারা সামনে এগিয়ে গেল । কদম গাছটির উপর তাকিয়ে দেখল রাতে ঝড়ে একটি বাঁশ আধ ভাঙ্গা হয়ে কদম ডালে ঝুলে আছে । বাতাসে এক একবার বাঁশটি এদিক থেকে ওদিকে যাচ্ছে আর ক্যাচর ক্যাচর গ্যাচর গ্যাচর করে শব্দ হচ্ছে । তারা আরও সামনে এগিয়ে গেল । দেখতে পেল মেহেদী কাঁটার ঝোপে আরিজের সার্টের কিছু অংশ ছিড়ে লেপ্টে আছে । রাস্তায় তার গড়াগড়ি খাওয়ার চিহ্ন ফুটে উঠেছে । আরও কিছুদুর যাওয়ার পর দেখল রাস্তার পাশে বাড়ৈ বাড়ীর শনপাটের ক্ষেত । শনপাটের ধারালো পাতা বাতাসে একটা আর একটার সাথে বাড়ি খাচ্ছে আর হুয়াও হুয়াও আওয়াজ হচ্ছে । দু বন্ধু একজন আরএক জনের মুখপানে চেয়ে মৃদু হাসল । তখনো টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে । মনে হচ্ছে সামনে কয়েক দিন আর বৃষ্টি থামবেনা । গ্রামের একটি প্রবাদ “শাওইন্না ধারা ঘরে ভাত নাই দুয়ারে পারা” সুর করে গাইতে গাইতে তারা পিরিজকান্দি বাজারে এসে হাজির হলো । বাজারে তখনো দোকানপাট খুলেনি । কেবল মাত্র লক্ষন দা তার দোকানের ঝাঁপ খুলতে প্রস্তুত হচ্ছে । লক্ষন দা দু বন্ধুকে দেখতে পেয়ে শুধাল- কি ব্যাপার এত সকাল সকাল বাদলা দিনে তোমরা কোত্থেকে এলে ? আরিজ আর মজনু দোকানে গিয়ে বসল । এক প্যাকেট চানাচুর আর মুড়ি নিয়ে চিবুতে চিবুতে দুই বন্ধু হুহ: –হুহ:-হু হা:- হা:হা-- করে হেসে উঠল । লক্ষন দা মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝতে না পেরে তাদের মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল ।
(বিদ্র:-গল্পটির ঘটনাপ্রবাহ ৪০/৪৫ বছর আগের গ্রাম বাংলার ঘটনা চিত্র । বর্তমান গ্রাম বাংলার সাথে এর মিল খুঁজে পাওয়া দুরূহ । কদমতলীর বিল এখন ফসলি জমি । জনসংখ্যা জর্জরিত গ্রামের মানুষ বেঁচে থাকার লড়ায়ে নিরন্তর লিপ্ত । চিতাশালার মেঠো পথটি আজ পিচঢালা পথ । রাস্তার উভয় পাশের জঙ্গল আর চিতাশালা নেই সেখানে গড়ে উঠেছে জনবসতি । কে বলবে এখানে একদিন ঘন জঙ্গল ও শ্মশাণখলা ছিল
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।